আমরা ভাতপাগল, মাছপাগল, ফুটবলপাগল, ক্রিকেটপাগল—মোটকথা আমরা বড় পাগল জাতি। এর মধ্যে আছে আবার উন্মাদ! সেই উন্মাদ ম্যাগাজিনের বয়স এখন ৪০, ভাবা যায়? এ উপলক্ষে রাজধানীর দৃক গ্যালারিতে ৫ জুলাই শুরু হয়েছে ৫ দিনব্যাপী ‘বিশাল’ কার্টুন প্রদর্শনী। আজ সোমবার প্রদর্শনীর শেষ দিন। সেখান থেকে ঘুরে এসেছেন রস+আলোর দুই উন্মাদ আশফাকুর রহমান ও আন্ নাসের নাবিল। শুনুন তাঁদের অভিজ্ঞতা।
ফ্রি উন্মাদ অফার
কার্টুন প্রদর্শনী চলছে দৃক গ্যালারির দোতলা আর তিনতলায়। দোতলায় ঢুকে দেখা গেল, দেয়ালে ঝোলানো সারি সারি কার্টুন দেখে দর্শকেরা মুগ্ধ হচ্ছেন, ছবি তুলছেন। এর মধ্যে চোখ আটকে গেল উন্মাদ-এর ১২টি সংখ্যা ফ্রি পাওয়ার এক বিশেষ অফারে। একটাই শর্ত—দেয়ালে ঝোলানো ল্যান্ডফোনটি দিয়ে সেলফি তুলতে হবে!
লাইভ ক্যারিকেচারেও নেইমার
তিনতলায় গিয়ে বুঝতে পারলাম, পৃথিবী যেমন সূর্যের চারদিকে ঘোরে তেমনই কার্টুন প্রদর্শনীটি ঘুরছে লাইভ ক্যারিকেচারের চারদিকে। হলের ঠিক মাঝখানে দুটি টেবিল বসিয়ে চলছে আগ্রহী দর্শনার্থীদের ক্যারিকেচার আঁকাআঁকি। সবাই তুমুল আগ্রহ নিয়ে কার্টুনিস্টদের হাতে নিজেদের ক্যারিকেচার আঁকিয়ে নিচ্ছেন। মোট দর্শনার্থী সংখ্যার অর্ধেকের বেশিই সম্ভবত ক্যারিকেচার টেবিলের আশপাশে অবস্থান করছেন। এক বাবা তাঁর ছেলেকে নিয়ে এসেছেন সেখানে। ক্যারিকেচার চলছে। ছেলে ব্রাজিল সমর্থক, বিশেষ করে নেইমারপাগল। কারণ কার্টুনিস্টের সামনে বসে থাকতে থাকতে হঠাৎ বলা নেই কওয়া নেই ধপাস করে পড়ে গেল সে! বাবা চিৎকার করে উঠলেন, ‘ওরে আমার নেইমার!’
লাইভ ক্যারিকেচারের সামনেই ডান দিকে আছে উন্মাদাসন। যোগাসন বা শবাসনের মতো শরীরচর্চার সঙ্গে এটার কোনো সম্পর্ক নেই। এটি মূলত একটি কমোড। নিচে কার্পেট বিছানো। পাশেই উন্মাদ ম্যাগাজিনের বেশ কয়েকটি সংখ্যা। উন্মাদ পড়ার জন্য একদম আদর্শ ব্যবস্থা! ‘লোকে কী ভাববে’ ভেবেই সম্ভবত কেউ উন্মাদাসনে বসছেন না। এভাবেই লোকলজ্জার ভয়ে অনেক মহৎ কাজই আমাদের সমাজে আলোর মুখ দেখে না।